ঢাকা,  সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ,

বিয়ে দেওয়ার কথা বলে ডেকে এনে বিধবাকে ধর্ষণের অভিযোগ

সারাবাংলা

 কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৯:১৬, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিয়ে দেওয়ার কথা বলে ডেকে এনে বিধবাকে ধর্ষণের অভিযোগ

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় বিয়ে দেওয়ার কথা বলে ডেকে এনে এক বিধবা নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগী। রোববার সকালে থানা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ওই নারী সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এ মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার মাগুরা মাদারীপুর গ্রামের দুলাল হাওলাদার (৩০), একই এলাকার মো. ইদ্রিস হাওলাদার (৫০), পূর্ব ডাসার গ্রামের মো. মানিক শেখ (৩০), ঢাকার মিরপুর এলাকার চায়ের দোকানদার বাবু ওরফে মানিক (৪০)।

মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী মারা যাওয়ার পর সন্তান নিয়ে ঢাকার মিরপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। ওই সুবাদে তার বাসার সামনে চায়ের দোকানদার বাবু ওরফে মানিকের সঙ্গে পরিচয়। অভিযুক্ত চায়ের দোকানদার বাবু ও মানিক শেখ মিলে ভুক্তভোগীকে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। ৬ সেপ্টেম্বর ছেলের বাড়িঘর দেখানোর কথা বলে মাদারীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সেখানে রাত ৯টার দিকে কালাম বেপারির বাড়িতে নিয়ে যায় ভুক্তভোগীকে। কালাম বেপারি আসামি ইদ্রিসের আত্মীয়। তাই চারজনকে বাড়িতে থাকতে দেন। রাতে কালাম বেপারী ও তার স্ত্রী, ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তরা একসঙ্গে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

এ সময় মানিক শেখ ভুক্তভোগী নারীকে দুলাল হাওলাদারের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে প্রস্তাব দেয়। তিনি রাজি না হলে হত্যার হুমকি দিয়ে চারজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। গত বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি বাড়ির মালিক কালাম বেপারিসহ স্বজনদের জানান ভুক্তভোগী। পরে স্বজনদের পরামর্শে মাদারীপুরের ডাসার থানায় মামলা করেন।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমাকে বিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঢাকা থেকে মাদারীপুরে নিয়ে আসে তারা। পরে ভয় দেখিয়ে আমাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আমি এদের কঠিন বিচার চাই।

কালাম বেপারি বলেন, ইদ্রিস আমার আত্মীয়। এ সুবাদে তাদের আমি থাকতে দিয়েছি কিন্তু তারা এই মেয়েটার সঙ্গে এ রকম খারাপ কাজ করবে, আমরা তা ভাবতে পারিনি। তাদের কঠিন বিচার হোক।

এ ব্যাপারে ডাসার থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।