নলেজ পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে হাইটেক পার্কের ভেতরে হচ্ছে নলেজ পার্ক। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) এ পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ। এ সময় মন্ত্রী একই পার্কে নির্মাণের শেষ পর্যায়ে থাকা শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার পরিদর্শন করেন।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইমরান আহমদ বলেন, ‘বর্তমান সরকারের রূপকল্প-২০৪১ অনুযায়ী স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে আইসিটি সেক্টর হবে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। এই প্রকল্প এলাকাটি বিনিয়োগের জন্য খুবই উপযোগী। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে এখন উপযুক্ত পরিবেশ বিরাজ করছে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কে আইরিশ ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড এক একর জমিতে হোম অ্যাপ্লায়েন্স ও ইলেক্ট্রিক গাড়ি নির্মাণ করবে। এখানে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। ফলে প্রায় ২০০ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া টুগেদার আইটি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এই পার্কে এক একর জমিতে ফ্রিজ, কনডেনসার ও এসির কম্প্রেসার তৈরি করবে। প্রাথমিকভাবে তারা ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে এবং ১০০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বৃহস্পতিবার এ দুটি কোম্পানির নির্মাণ কাজেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী।
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরউল্লাহ্ বলেন, ‘২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি সিলেট হাইটেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে সিলেটকে একটি প্রযুক্তি নগরী হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রযুক্তিভিত্তিক কর্মসংস্থানের একটি ডিজিটাল ইকোনমিক হাব হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
তিনি জানান, সিলেটের এই পার্ক থেকে ভারতের সেভেন সিস্টার্সের বাজারে প্রবেশের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকায় দেশি-বিদেশি আরও অনেক কোম্পানি এই পার্কে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এ কারণে আমরা এই পার্কে দক্ষ জনবল সৃষ্টির জন্য শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করছি।
প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কের ভেতরে ২ দশমিক ৮৫ একর জায়গায় নলেজ পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। এর নির্মাণ কাজ শেষ হলে এখানে প্রায় এক হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হক জানান।
