ঢাকা,  বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ,

কিবোর্ডের শব্দ শুনে পাসওয়ার্ড চুরি করবে এআই!

তথ্যপ্রযুক্তি

গণবাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:২১, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কিবোর্ডের শব্দ শুনে পাসওয়ার্ড চুরি করবে এআই!

কিবোর্ডে টাইপের শব্দ শুনে পাসওয়ার্ড চুরি করার ঘটনা নতুন নয়। তবে এক গবেষণায় দেখা গেছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রায় নির্ভুলভাবে কিবোর্ডের শব্দ থেকেই পাসওয়ার্ড হ্যাক করতে পারে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল কম্পিউটার বিজ্ঞানী কিবোর্ড থেকে উৎপন্ন শব্দ শনাক্তের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই মডেল তৈরি করেছেন। এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য বিজ্ঞানীরা ‘ম্যাকবুক প্রোর ২০২১ সংস্করণ ব্যবহার করেন। এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জসুয়া হ্যারিসন, সারে বিশ্ববিদ্যালয়ের এহসান তোরেনি ও লন্ডনের রয়্যাল হলওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মারিয়াম মেহরনেজাদ।


কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশিত এক সমীক্ষার বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক পোস্ট বলছে, এই এআই নিখুঁত এবং নির্ভুলভাবে ব্যবহারকারীদের পাসওয়ার্ড চুরি করতে সক্ষম। একজন ব্যক্তি কিবোর্ডে যে বাটনগুলো ক্লিক করছেন, তা অনুসরণ করে এআইটি তথ্য হাতিয়ে নিতে বেশ কার্যকর। স্মার্টফোনের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে ভালো ফল পাওয়া গেছে। দেখা গেছে, টাইপ করা পাসওয়ার্ড ৯৫ শতাংশ নির্ভুলভাবে দিচ্ছে এআই।
জুম ভিডিও কনফারেন্সের সময় ল্যাপটপের মাইক্রোফোন দিয়ে নির্ভুলভাবে টাইপ শুনতে পারদর্শী এআই মডেলটি। গবেষকদের মতে, কিবোর্ডের শব্দ শুনে এআই ৯৩ শতাংশ নিখুঁতভাবে কাজ করতে পারে। হ্যাকারদের এ ধরনের আক্রমণকে বলা হয় অকাস্টিক সাইড-চ্যানেল আক্রমণ।


এ ধরনের আক্রমণে হ্যাকাররা নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টের টাইপিং পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন। গবেষকরা সতর্ক করে বলেন, অনেকে এ ধরনের আক্রমণ সম্পর্কে কিছুই জানেন না। বিজ্ঞানীদের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা পাসওয়ার্ড লেখার সময় লুকিয়ে টাইপ করলেও কিবোর্ডের শব্দ যাতে অস্পষ্টভাবে শোনা যায়, সে বিষয়ে খুব একটা সচেতন নন।

নির্ভুল পরীক্ষা যেভাবে নির্ভুল পরীক্ষার জন্য গবেষকেরা ল্যাপটপের ৩৬টি কি ২৫ বার করে চাপেন। এআইকে বিভ্রান্ত করার জন্য চাপ ও আঙুলে বৈচিত্র্য রাখা হয়। তবে এআই প্রতিটি চাপের তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের মতো বিভিন্ন জিনিস বিশ্লেষণ করে সঠিকভাবে অক্ষরগুলো চিহ্নিত করতে সমর্থ হয়। স্মার্টফোন দিয়ে পরীক্ষার সময় একটি ‘আইফোন ১৩ মিনি’ কিবোর্ড থেকে ১৭ সেন্টিমিটার দূরে রাখা হয়।

জুমের প্রতিক্রিয়া এ বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় জুম। তারা জানায়, গ্রাহকদের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার বিষয়টি জুম খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখে। ব্যবহারকারীরা ব্যাকগ্রাউন্ড শব্দ ব্যবহার কিংবা মিটিংয়ে অংশ নেওয়ার সময় মাইক্রোফোন বন্ধ করে রাখলে তথ্য থাকবে সুরক্ষিত। এ ছাড়া কম্পিউটার বা ল্যাপটপে টাইপ করার সময় মাইক্রোফোন বন্ধ থাকলে এআইয়ের মাধ্যমে তথ্য চুরির ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।