ঢাকা,  বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ,

জাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগের দাবিতে কালো পতাকা মিছি

জাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগের দাবিতে কালো পতাকা মিছি

ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের  (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের পদত্যাগের একদফা দাবিতে কালো পতাকা মিছিল করেছে বিদ্রোহী অনুসারীরা।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় থেকে ৬টি হল থেকে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে এসে জড়ো হতে থাকেন তারা। এরপর পরিবহন চত্বর থেকে সম্মিলিত মিছিল শুরু করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ঘুরে শহীদ মিনারের পাদদেশে এসে মিছিলটি শেষ হয়। মিছিলে তারা ‘এক দফা এক দাবি লিটন তুই কবে যাবি’, ‘লিটনের চামড়া তুলে নেবো আমরা’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।


মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছয়টি হলের নেতাকর্মীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য দেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জাহিদুজ্জামান শাকিল।


তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ট্রেন্ডারবাজি, জমিদখল, দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কর্তৃক তাকে যে পবিত্র দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে, সে তার জুলুম, নিপীড়ন, স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে কলঙ্কিত করেছে।

তিনি বলেন, তদন্ত চলাকালে গত ৩১ জানুয়ারি সিনিয়র নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় না করে যে হল কমিটি গঠন করা হয়েছে- এতে ত্যাগীদের বঞ্চিত করে বিবাহিত, বহিষ্কৃত এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অভিযুক্তদের পদে আসীন করা হয়েছে। মূলত ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে এই হল কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি এবং হাবিবুর রহমান লিটনের পদত্যাগ দাবি করছি।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে তারা যে ব্যবস্থা নেবে আমি তা মেনে নেবো।

এর আগে, গত ২৩ জানুয়ারি হল কমিটি দিতে ব্যর্থতা, কর্মীদের সময় না দিয়ে জমি দখলসহ ছয়টি অভিযোগে লিটনকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন ছয় হলের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা। চলমান এ বিদ্রোহে বিশ্ববিদ্যালয়ের কামালউদ্দিন হল, রবীন্দ্রনাথ, রফিক-জব্বার, আলবেরুনি হল, মীর মশাররফ, সালাম-বরকত হলের সাধারণ সম্পাদকের প্যানেলের নেতাকর্মীরা অংশ নিচ্ছেন। এ  ঘটনায় গত ২৭ জানুয়ারি চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।