ছবি: সংগৃহীত
নোয়াখালী সদর উপজেলার বাঁধেরহাট এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আবুধাবী প্রবাসী মো. সৌরভ হোসেন সাজ্জাদ (২০) নিহতের ঘটনায় সাত আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের রিয়াজ উদ্দিন (২৩), আরিফ উদ্দিন (২৫), আরমান রাহাত (২১), পারভেজ রাজু (২০), আবু নাছের (২৫), মো. ফারুক (৪২) ও রাকিব উদ্দিন (২৫)। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের তিন গ্রামে সিফাত গ্রুপ ও রিয়াদ গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধের জের ধরে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ২টার দিকে সিফাত গ্রুপ ও রিয়াদ গ্রুপের মধ্যে স্থানীয় বাঁধেরহাট বাজারে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় আবুধাবী প্রবাসী সৌরভকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সৌরভ হোসেন সাজ্জাদ উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের রামকৃঞ্চপুর গ্রামের আহাম্মদ মুন্সি বাড়ির মো. সবুজের ছেলে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, নিহত সৌরভের বাবা মো. সবুজ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) মো. শাহ আলম আসামিদের কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাত আসামিকে সোপর্দ করা হয়। তারপর আমলি আদালত-১ এর বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে বিকেলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।