ঢাকা,  সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ,

নির্বাচন বানচাল ষড়যন্ত্রে আন্তর্জাতিকভাবে অনেকে জড়িত: শেখ হাসিনা

নির্বাচন বানচাল ষড়যন্ত্রে আন্তর্জাতিকভাবে অনেকে জড়িত: শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে আন্তর্জাতিকভাবে অনেকে জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় এমন কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থেকে টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাঠিয়েছে। কিন্তু ভাগ্য পরিবর্তনে আওয়ামী লীগ যখনই কাজ শুরু করে বিএনপি তখন বারবার বাধা সৃষ্টি করেছে। তারপরও আপনারা আমাকে আগলে রেখেছেন। সে জন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।


তিনি বলেন, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে আন্তর্জাতিকভাবে অনেকে জড়িত। নির্বাচনে জয়ী হলে লন্ডনে বসে বাসে আগুন দেওয়ার হুকুমদাতাকে ধরে এনে বিচার করা হবে।


বিএনপির-জামায়াতের চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ পুড়িয়ে মারাই হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন। তাদের হাত থেকে কেউই রক্ষা পায়নি।

তিনি বলেন, লন্ডন থেকে হুকুম দেয়, এখানে মানুষ পোড়ায়। তারেকের মতো খুনি, আর তার কথা শুনে, লম্পটের কথা শুনে কেন তারা মানুষ মারে এটা তাদের কাছে আমার প্রশ্ন। এর জন্য আল্লাহর কাছে শাস্তি পেতে হবে। আমরা চাই মানুষ শান্তিতে থাকুক। নির্বাচন বানচাল করতে চায় তারা। তৃতীয় পক্ষ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারে না। সারা বাংলাদেশ আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুকন্যা দুর্নীতি করতে আসিনি, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে এসেছি। আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করব, আজ বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি। আমরা মুজিব আদর্শে বিশ্বাস করি। ইসরায়েল দ্বারা যেমনি ফিলিস্তিনের ওপর হামলা করছে ঠিক তেমনি তারেক জিয়া লন্ডন থেকে হুকুম দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। আগামী নির্বাচনে আল্লাহর রহমতে নির্বাচিত হলে তাকে ধরে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

গোপালগঞ্জের জনসভার পর মাদারীপুরের কালকিনিতে সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ মাঠে জনসভায় যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। সেখানে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে জনসমাবেশ যেন সঠিকভাবে, সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা যায় তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

আগামী ২ জানুয়ারি ফরিদপুর জনসভা করবেন তিনি। আর ৪ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে জনসভার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচার শেষ হবে।