ঢাকা,  সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ,

নৌকার মিছিলে স্লোগান দেওয়ার সময় আ.লীগ কর্মীর মৃত্যু

সারাবাংলা

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:৩৩, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

আপডেট: ২২:১৪, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

নৌকার মিছিলে স্লোগান দেওয়ার সময় আ.লীগ কর্মীর মৃত্যু

বরগুনা-১ আসনে নৌকার পক্ষে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মিছিল। ছবি : সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের দিনে বরগুনা-১ আসনে নৌকার মিছিলে গিয়ে স্লোগান দেওয়ার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নূরুল ইসলাম মুসুল্লি (৬৫) নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) মাগরিব নামাজের পরে সন্ধ্যা সাড়ে পাচঁটার দিকে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে স্লোগান দেওয়ার সময় হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন নুরুল ইসলাম।


বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মাহমুদ আল মামুন শুভ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


মৃত ওই নৌকা সমর্থক নুরুল ইসলাম মুসুল্লি বরগুনা সদর উপজেলার ৭নং ঢলুয়া ইউনিয়নের লতাবাড়িয়া গ্রামের মৃত হাশেম মুসুল্লির ছেলে। তিনি এলাকায় নুরুল ইসলাম এমপি নামে বেশ পরিচিত।

স্থানীয় অন্যান্য নৌকা সমর্থক ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আলহাজ আজিজুল হক স্বপনের সাথে নৌকার মিছিলে আসেন এ আওয়ামী লীগ কর্মী। মাগরিব নামাজের পরে সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে স্লোগান দেওয়ার সময় হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন নুরুল ইসলাম। ৭নং ঢলুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ আজিজুল হক স্বপন তাৎক্ষণিক অসুস্থ নুরুল ইসলামকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মাহমুদ আল মামুন শুভ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মৃত্যু নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই বলে পরিবারের পক্ষে লিখিত দিয়ে হাসপাতাল থেকে নুরুল ইসলাম মুসুল্লির মরদেহ গ্রহণ করেন চেয়ারম্যান আলহাজ আজিজুল হক স্বপন।

ঘটনার বিষয়ে জানতে ৭নং ঢলুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ আজিজুল হক স্বপনের মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সমর্থকের মৃত্যুতে তার পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ জাহাঙ্গীর কবির।