যাত্রী ছাউনিতে ছাটার লাগানোর কাজ চলছে
চিলমারী নদীবন্দরের রমনাঘাটে যাত্রী বিশ্রামাগারটি দখল করে সাটার লাগানোর অভিযোগ ওঠেছে রমনা ঘাটের ইজারাদার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের বোনের ছেলে শহিদুল্লাহ কায়সার ইমুর বিরুদ্ধে। সাটার লাগানোর সময় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রোকনুজ্জামান স্বপনসহ স্থানীয়রা বাঁধা প্রদান করেন। এতে শ্রমিকদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। পরে স্থানীয়দের বাঁধার মুখে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হোন শ্রমিকরা।
ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যাত্রী ছাউনিটি উন্মুক্ত রাখতে সাটার খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন চিলমারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, যাত্রী ছাউনিটি উন্মুক্ত রাখতে সাটারগুলো খুলে ফেলা হচ্ছে। বাকি গুলোও দ্রুত খোলা হবে। গত বুধবার বিকালে এঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিলমারী নদীবন্দরের পথচারীদের জন্য তৈরি করা বজরা দিয়ার খাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন যাত্রী ছাউনিটির মাঝে ইটের দেয়াল দিয়ে দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। যার সম্মুখে সাটার লাগানোর হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইউএনওর নির্দেশে বৃহস্পতিবার যাত্রী ছাউনির একটি অংশের লাগানো সাটার গুলো খুলে ফেলা হয়েছে। দ্রুত বাকি অংশেরও সাটার গুলো খুলে ফেলা হবে।
ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রোকনুজ্জামান স্বপন জানান, যাত্রী ছাউনি সম্মিলিত জনসাধারণের জন্য। এটা ব্যবহার করবে জনগণ। এখানে প্রতিমন্ত্রীর ভাগিনা শহিদুল্লাহ কায়সার ইমু ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে জনসাধারণের সম্পদ দখল করেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রশাসনকে ব্যাপারটি জানিয়েছি। এরপর প্রশাসন যাত্রী ছাউনি দখল মুক্ত করার ব্যবস্থা নেন।
দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে ঘাট ইজারাদার শহিদুল্লাহ কায়সার ইমু বলেন, আমি এগুলোর সাথে জড়িত নই। টিকিট বিক্রি, যানবাহনের নৈশপ্রহরীর বিশ্রামের জন্য পরিত্যাক্ত ওই ঘাট শেডটি সংস্কার করেছিলাম। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বারণ করায় সেটা বন্ধ রেখেছি।