ঢাকা,  সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ,

আজ চট্টগ্রামে উদ্বোধন হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

সারাবাংলা

 প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ১০:২২, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

আজ চট্টগ্রামে উদ্বোধন হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের প্রথম ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন আজ।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার চট্টগ্রাম পতেঙ্গা বিমানবন্দর থেকে নগরীর টাইগারপাস পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম নগরী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত দেড় থেকে দুই ঘণ্টার সড়কপথ অতিক্রম করা যাবে মাত্র ২০ মিনিটে। একইসঙ্গে আরও দুটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি।

এ দুটি প্রকল্প হচ্ছে বায়েজিদ লিংক রোড ও বাকলিয়া এক্সেস রোড।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বায়েজিদ লিংক রোড ও বাকলিয়া এক্সেস রোড প্রকল্প উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম নগরে সড়ক যোগাযোগে বড় পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে।

নগরীর পতেঙ্গা প্রান্তে বঙ্গবন্ধু টানেলের পাশেই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মূল শহর থেকে সেখানে গিয়ে সংযুক্ত হবে।

অপরদিকে এটি বিমানবন্দর এলাকা থেকে শুরু হয়ে ইপিজেড-বন্দর-বারেকবিল্ডিং-চৌমুহনী হয়ে দেওয়ানহাট রেলসেতুর পশ্চিম পাশ দিয়ে পাহাড় ঘেঁষে টাইগারপাস মোড়ের পর মূল সড়কের ওপর দিয়ে লালখান বাজার মোড় পেরিয়ে ওয়াসার মোড়ে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে গিয়ে মিলবে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আগামী ১৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দ্বার খুলে যাচ্ছে। ওই দিন চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।’

এদিন ফ্লাইওভার উদ্বোধন শেষে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে পতেঙ্গা থেকে টাইগারপাস আসবেন।
সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, ‘১৪ নভেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ প্রধানমন্ত্রী সিডিএর তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এই তিন সড়ক প্রকল্পের ফলে মানুষ দ্রুত সময়ে গন্তব্যে যাতায়াত করতে পারবেন। নগরীর যানজটও অনেকাংশে দূর হবে। উদ্বোধনের পর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে মানুষ ২০ মিনিটের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল ও বিমানবন্দরে পৌঁছে যাবে।’

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সিডিএ বলছে, জনদুর্ভোগ কমাতে র‌্যাম্পের কাজ শুরু হবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল অংশের কাজ শেষ হওয়ার পর। আগামী বছর জুনে র‌্যাম্পগুলো চালুর লক্ষ্য ঠিক করেছেন তারা।

নগরীর লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে চার হাজার ২৯৮ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুনে শেষ করার সময় পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।

এটি সাবেক মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে নামকরণ করা হচ্ছে। র‌্যাম্প বাদে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মূল প্রকল্পের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল কাঠামোর কাজ শেষ না করে র‌্যাম্পের কাজ করা যাবে না। তা ছাড়া র‌্যাম্পের কাজ শুরু হলে গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে যানজটের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হয়ে গেলে নিচের মূল সড়কে চাপ কিছুটা কমবে।’

২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কাজ শুরু হলেও ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৭ সালে একনেকে অনুমোদন হওয়ার সময় তিন হাজার ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি তিন বছরের মধ্যে শেষ করার সময় ঠিক করা হয়েছিল।

পরে ২০২২ সালে নকশা ‘সংশোধন’ করে আরও এক হাজার ৪৮ কোটি টাকা (আগের ব্যয়ের চেয়ে ৩২ শতাংশ) ব্যয় বাড়িয়ে মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।