ঢাকা,  সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ,

অবরোধ-হরতালে দেশের চেয়ে বিদেশে বেশি ক্ষতি হচ্ছে : পরিকল্পনামন্ত্রী

সারাবাংলা

সিলেট ব্যুরো

প্রকাশিত: ১২:৪০, ৯ নভেম্বর ২০২৩

আপডেট: ২০:৩৮, ৯ নভেম্বর ২০২৩

অবরোধ-হরতালে দেশের চেয়ে বিদেশে বেশি ক্ষতি হচ্ছে : পরিকল্পনামন্ত্রী

অবরোধ-হরতালে দেশের চেয়ে বিদেশে বেশি ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, ‘হরতাল-অবরোধে দেশের চেয়ে বিদেশে ক্ষতি বেশি হয়। দেশে তাৎক্ষণিকভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়ে, বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। বিদেশে বিশ্বাসযোগ্যতা কমে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মনে করে এই দেশে শৃঙ্খলা নেই। ঢিল মারে, আগুন দেয়, আমরা এই দেশে বিনিয়োগে যাব না। হরতাল-অবরোধে দুই ধরনের ক্ষতি হয়। প্রাথমিক ক্ষতি মূল্যস্ফীতি, দ্বিতীয়ত বিনিয়োগে ক্ষতি।’

বুধবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

নতুন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দায়িত্ব গ্রহণের পরদিন পরিকল্পনামন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেন সিসিক কর্তৃপক্ষ। 

বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে অবরোধ পরিস্থিতির অবসান করা যায় কি না, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘ওর সঙ্গে কথা চলে, যে লোক কথা বলতে চায় না। যারা বলে আমরা কথা বলব না, এই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আসব না, তিনি না বেরিয়ে গেলে আমরা কোনো আলাপই করব না। এসব মানুষের সঙ্গে, পাথরের সঙ্গে আলোচনা করতে পারি না।’ 

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করে নির্বাচন করা পৃথিবীর কোনো দেশে নেই উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো লোক, নিতান্তই গরিব লোক, সে যদি তার ভিটেতে থাকে, আপনি যদি বলেন বের হয়ে যেতে, সে কি মানবে আপনার কথা? নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, বিশ্বে স্বীকৃত, জাতিসংঘে স্বীকৃত, দেশে-বিদেশে উচ্চতর ভূমিকায় অবদান রাখছেন, এসব কথাবার্তা দিয়ে তাকে সরানো যাবে না।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি মোটেও আইনগতভাবে প্রাসঙ্গিক নয়। সাংস্কৃতিকভাবে প্রাসঙ্গিক নয়। দলীয় রাজনীতির নিয়মকানুন সারা বিশ্বে যেভাবে আছে, সেভাবে হবে। আমরা কি পৃথিবীর একমাত্র দেশ? সব দেশে কমবেশি মতভেদ আছে। এ রকম বিনাশি, অসৌজন্য, অসভ্য, অভদ্র, অগ্রহণযোগ্য আচরণ অন্য কোনো দেশে আমার জানা মতে নাই। নির্বাচন অবশ্যই হবে। সাংবিধানিক বিধান, রাষ্ট্র থাকলে নির্বাচন অবশ্যই হবে।’ 

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) টানা দুবারের বিদায়ি মেয়র ও নতুন মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে সিলেটের রাজনীতির বিরল সৌহার্দমূলক অনুষ্ঠান হয়েছে গত মঙ্গলবার। নগর ভবনে এই অনুষ্ঠাকে একটি চমৎকার অনুষ্ঠান বলে মন্তব্য করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। 

এমন রাজনৈতিক সম্প্রীতি বিরোধী রাজনৈতিক দল দেখেও শেখে না মন্তব্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘দুই মেয়রকে নিয়ে বৃহত্তর সিলেটের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে গর্ববোধ করি। আমাদের আগে যিনি (আরিফুল হক চৌধুরী) মেয়র ছিলেন, খুবই চমৎকার। শুধু গতকাল নয়, নতুন মেয়র (আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী) নির্বাচনের প্রায় তিন মাস হয়ে গেল, তিনি এতদিন ধৈর্যের সঙ্গে অপেক্ষা করেছেন। আমাদের আগের মেয়রও (আরিফুল হক চৌধুরী) অত্যন্ত চমৎকারভাবে প্রশাসন চালিয়ে গেছেন। এতে শেখার মতো অনেক কিছু আছে। আমাদের দুর্ভাগ্য, যাদের শেখার প্রয়োজন, যাদের দলের ব্যক্তি বিদায়ি মেয়র ছিলেন, সম্প্রীতির এত চমৎকার উদাহরণ তারাই গ্রহণ করেনি।’