বর্তমান সংবিধান অনুযায়ীই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘সরকার পতন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এটি দেশের জনগণ ও জাতীয় কোনো বক্তব্য নয়, এসব বিএনপির বক্তব্য। দেশের জনগণ বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াও ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে একমত নন। সংবিধান অনুযায়ী দেশ পরিচালনা হচ্ছে। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নতুন সরকার যথা সময়ে গঠিত হবে।’
বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রামগতি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে তিনি লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত উন্নয়নবিষয়ক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে ক্ষতবিক্ষত করে দেওয়া হয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই আওয়ামী লীগ আজ সুসংগঠিত। বিকল্পধারা আমাদের শরিক দল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে বিকল্পধারাসহ সব শরিক দল অঙ্গীকারবদ্ধ। আর আগামী দিনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে সব প্রতিকূলতার মোকাবিলা করবে আওয়ামী লীগ।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের টানা ১৫ বছরের ক্ষমতায় দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। এ ১৫ বছরে খাদ্য ঘাটতি হয়নি। সারের সংকট হয়নি। বিএনপি-জামায়াত আজ বড় বড় কথা বলেন, মিছিল-মিটিংয়ের নামে পুলিশ হত্যা করে ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালায়। তারা ২১ বছর ক্ষমতা থাকাকালীন এ দেশের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী দিনে সব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।’
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু, কমলনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুচিত্র রঞ্জন দাস প্রমুখ।
