ঢাকা,  সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ,

নিজ দোকানেই আ.লীগ কর্মীকে হত্যা

সারাবাংলা

বরিশাল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১:৪৯, ১৭ অক্টোবর ২০২৩

নিজ দোকানেই আ.লীগ কর্মীকে হত্যা

হাসপাতালে নিহতের স্বজনরা

বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের আলিমাবাদ ইউনিয়নের চরডাইয়া গ্রামে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে নিজ দলের লোকেরা কুপিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত আওয়ামী লীগর নাম আরিফ জমোদ্দার। পেশায় মুরগি ব্যবসায়ী এই ব্যক্তি চরডাইয়া গ্রামের আব্দুল জলিল জমোদ্দারের ছেলে।

কাসেম ফরাজী, ফিরোজ ফরাজী, জয়নাল ফরাজী, জাহাঙ্গীর ফরাজী, আনোয়ার ফরাজী, পান্নু ফরাজী ও ইউনুস মাঝিসহ ১৫ জন এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি স্বজনদের।


নিহতের বড় ভাই জসিম জমোদ্দার বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আরিফকে হত্যা করা হয়। তিন মাস আগে আলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নিহতের বড় ভাই জসিম মেম্বরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন অভিযুক্ত কাসেম ফরাজীও। দুই জনই পরাজিত হন। এর জন্য কাসেম দায়ী করেন জসিমকে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মৌন দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর মধ্যে জসিম হলেন এমপি পংকজ নাথের অনুসারী আর কাসেম হচ্ছে পৌর মেয়র কামাল হোসেনের অনুসারী।


তিনি আরও বলেন, জসিমের নির্বাচন পরিচালনায় ছিলেন নিহত আরিফ। আজ রবিবার সকাল থেকে আরিফ দোকান খুলে ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন। দুপুর ২টার দিকে আকস্মিক কাসেমের নেতৃত্বে ১৫ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই দোকানে হামলা চালায়। তারা তিন শাটারের মধ্যে দুটি শাটার বন্ধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে-পিটিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। খবর পেয়ে আরিফকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে সে মারা যায়।

নিহতের ভাতিজা বিপ্লব জমোদ্দার জানান, তার চাচার দোকানের ধারেকাছে কোনও বাড়ি নেই। দুপুরে আরও নিরিবিলি হয়ে যায়। এ সুযোগে কাসেমের নেতৃত্বে ১৫ জনের একটি সশস্ত্র গ্রুপ ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে দোকানের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। এরপর হামলাকারীরা তাদের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। তখনও তারা বুঝতে পারেনি এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। পরে ক্রেতারা সেখানে গিয়ে চাচার ওই অবস্থা দেখে বাড়িতে খবর দেন। বাড়ি থেকে মোবাইল নম্বরে কলা দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। এরপর দোকানে গিয়ে চাচাকে উদ্ধার করে বরিশাল নিয়ে আসেন।


তিনিও দাবি করেন, এমপি পক্ষ করায় পৌর মেয়র কামালের অনুসারীরা এ হামলা চালিয়ে তার চাচাকে হত্যা করেছে।

মেহেন্দীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার মো. আরিফ বলেন, একজন মুদি ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে। তবে দুর্গম এলাকা হওয়ায় সেখানে যাওয়া সম্ভব হয়নি। শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।