ঢাকা,  শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ,

নির্বাচনে কালো টাকা ছড়ানোর প্রমাণ পেলেই প্রার্থিতা বাতিল

নির্বাচনে কালো টাকা ছড়ানোর প্রমাণ পেলেই প্রার্থিতা বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচনে কালো টাকা ছড়ানোর প্রমাণ পেলেই তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। টাকার বিনিময়ে ভোট কেনার সুযোগ নেই। ভোটারদের ভালোবেসে মন জুগিয়েই ভোট নিতে হবে। 


বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে প্রার্থী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রিসাইডিং অফিসারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুই প্রার্থীর ভোট কেনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, এখন থেকে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত আমাদের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাই এ বিষয়টি মনিটরিং করবেন। ইভিএমের মাধ্যমে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভোট হবে। কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ মনে করেন যে, অন্য উপায়ে বা টাকার বিনিময়ে ভোট কিনে নির্বাচিত হবেন তাহলে তিনি সতর্ক হয়ে যান। নির্বাচিত হতে হলে সকল ভোটারের ভালোবাসায় মন জয় করে প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হতে হবে। আচরণবিধি না মেনে নির্বাচনের ব্যত্যয় করলে যে কোনো মুহূর্তে নিবার্চন বন্ধ করে দেওয়া হবে।


জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মন্ডল, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হেসেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলামসহ উপ-নির্বাচনে অংশ নেওয়া ছয়জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-সদস্যসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ৯ মার্চ সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জেলার মোট ৭টি পৌরসভা, ৯টি উপজেলা পরিষদ ও ৮৩টি ইউনিয়নের মোট ১১৯৬ জন মেয়র, চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য ইভিএম পদ্ধতিতে সকাল ৮ থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ছয়জন প্রার্থী। এর মধ্যে জিপ গাড়ি প্রতীকের প্রার্থী শামিম তালুকদার লাবু ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মোকবুল হোসেন মুকুলের মধ্যে আসল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা। 


প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। তার পদত্যাগে চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়।