ঢাকা,  রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ,

জমি অধিগ্রহণ না করে জোরপূর্বক সেতু নির্মাণ কুড়িগ্রাম এলজিইডি’র

জমি অধিগ্রহণ না করে জোরপূর্বক সেতু নির্মাণ কুড়িগ্রাম এলজিইডি’র

এ যেন মগের মুল্লুক। অধিগ্রহণ না করেই ব্যক্তি মালিকানা জমির উপর জোরপূর্বক সেতু নির্মাণের অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় (এলজিইডি)-কুড়িগ্রামের বিরুদ্ধে। বারবার অভিযোগ করেও সুরাহা হয়নি। উল্টো মামলা-হামলার ভয় দেখিয়ে সেতু নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এমন অভিযোগ করে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেন করেছেন জমির মালিক রেজাউল করিম। 

সরে জমিন ঘুরে দেখা যায়, জেলার চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে পাত্রখাতা গ্রামের সংযোগ সেতু নতুন করে নির্মাণ শুরু হয়েছে। প্রকল্পের নাম- রংপুর বিভাগ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (আরডিআইআইপি), আরসিসি গর্ডার ব্রিজ সেতুর দৈর্ঘ্য ৬৮ মিটার। রাস্তার আইডি-১৪৯০৯৪০১৯। অভিযোগকারী রেজাউল করিমের রেকর্ডকৃত জমির মৌজা- পাত্রখাতা, জেএল নং ১৫, দাগ নং ৩১৩৫, সীট নং ২। ইতিমধ্যে এই জমির মধ্যে পিলার স্থাপন করা হয়েছে। খালের প্রস্থের চেয়ে সেতুর দৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় তার জমির প্রায় ৯ শতাংশ জমি সেতুর মধ্যে পড়েছে এবং একটি অখন্ড জমি সেতুদ্বারা খন্ডিত হয়েছে। এনিয়ে সেতু নির্মাণের শুরুতে একাধিকবার জেলা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ দিলেও কাজ হয়নি। সর্বশেষ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করলে গত ৩১ জুলাই তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। পরে তৎকালীর চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যান তদন্তে অভিযোগের সতত্যা পায়। এরপরও কোন সুরাহা হয়নি বলে জানান জমির মালিক।

জমির মালিক রেজাউল করিম বলেন, একাধিবার কুড়িগ্রাম গিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জমি অধিগ্রহণ করে ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান। কিন্তু সেতু নির্মাণ শুরু হলেও তারা এখন পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিপূরণ কোনটিই করেননি। 
তিনি বলেন, জমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী যেসব নিয়ম ও নির্দেশনা বাধ্যতামুলক অনুসরণ করতে হয় তার একটিও করা হয়নি। আমার জমি অধিগ্রহণ ব্যতিত এই সেতু নির্মাণ সম্পূর্ণ আইন পরিপন্থী ও গর্হিত কাজ। এর জন্য আমি জমি অধিগ্রহণ না করেই নকশা প্রণয়ন, টেন্ডার কল ও তোরজোর করে সেতু নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সকলের শাস্তি দাবিসহ সেতুর পাশে খাস জমিতে নির্মাণ কাজ শুরু করার বিনীত অনুরোধ করছি। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এলজিইডি, কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুজ্জামান বলেন, আমি নতুন এসেছি। এ বিষয়ে কিছু জানিনা।