ঢাকা,  রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ,

জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার: পর

জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার: পর

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ড. হাছান মাহমুদ (ছবি: সংগৃহীত)

সোমালিয়ার উপকূলে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও জাহাজটির নাবিকদের সুস্থভাবে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে মুক্ত করতে সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। 

শুক্রবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে স্থানীয় প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতাদের স্মরণ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। 


জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিককে উদ্ধারে ব্যাপারে সরকার কী উদ্যোগ নিয়েছে— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন, আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। গতকাল (বৃহস্পতিবার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে, জাহাজ এবং নাবিকদের সুস্থভাবে মুক্ত করার জন্য সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে আমরা কোন প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছি— সেটি বলতে চাই না। কারণ এটি জনসমক্ষে প্রকাশ করার বিষয় নয়। আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাবিক এবং জাহাজ দু'টোকেই মুক্ত করা।’


পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, একই কোম্পানির আরেকটি জাহাজ কয়েক বছর আগে, ২০১০ সালে হাইজ্যাক হয়েছিল। সেটিকে মুক্ত করতে ১০০ দিন সময় লেগেছিল। আমাদের প্রচেষ্টার কোনও কমতি নেই। আমরা নানাভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি, ইনশাল্লাহ আমরা আশা করছি অতীতের মতো এবারও সম্পূর্ণ সুষ্ঠুভাবে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধার করতে পারবো।’

মিয়ানমারে বিশৃঙ্খলার কারণে আবারও ১৪৯ জন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সৈন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এর আগেও মিয়ানমারের এ ধরনের কিছু নাগরিক আমাদের দেশে এসেছিল, আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তাদের ফেরত পাঠিয়েছি। এবারও তাদের একই প্রক্রিয়ায় ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে কাজ করছি।’


এর আগে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াকিল আহমদ তালুকদার, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, কাজী জসিম ও নুরুল করিম বেবি চৌধুরীর স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল, গণ-মানুষের দল। যাদের স্মরণে আজকের এই স্মরণসভা, তারা সবাই রাঙ্গুনিয়ায় আওয়ামী লীগকে দুঃসময়ে সংগঠিত করেছিল। তাদের মতো তৃণমূলের নেতাদের কারণেই আজকে দল রাষ্ট্রক্ষমতায়।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘যারা গত ১৫ বছর ধরে দল করছে কিংবা আগে আমাদের দল করেনি তারা কিন্তু দুঃসময়ে এই নেতাদের অবদানের কথা জানে না। বিরোধী দলে থেকে রাজনীতি করার যে যাতনা, তা আজকের অনেকেই জানেন না। এসব নেতার জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছুই শেখার আছে।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার ও যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) ড. মোহাম্মদ সেকান্দর হোসেন চৌধুরী।