ঢাকা,  শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ,

মুক্তিযুদ্ধের হারানো ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার করতে পেরেছি : ফেরদৌস

বিনোদন

গণবাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৪৮, ৩১ আগস্ট ২০২৩

সর্বশেষ

মুক্তিযুদ্ধের হারানো ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার করতে পেরেছি : ফেরদৌস

মুক্তির দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও দর্শকের আগ্রহের তালিকার শীর্ষেই থাকছে মুক্তিযুদ্ধকালীন ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে নির্মিত সিনেমা ‘১৯৭১ সেইসব দিন

হৃদি হকের পরিচলনায় সিনেমায় অভিনয় করছেন মামুনুর রশীদ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ফেরদৌস, তারিন, সজল, লিটু আনাম, জুয়েল জহুরসহ অনেকে। এই ছবির বিশেষ এক চরিত্রে দেখা যাবে চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদকে। অনেক বেশি আবেগ আপ্লুত হয়েই এ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।

ফেরদৌস মনে করেন মুক্তিযোদ্ধারা যতটা সম্মান প্রাপ্য, তাদের ততটা শ্রদ্ধা দেওয়া হচ্ছে না। তা ছাড়া পরবর্তী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের দলিলগুলো তুলে ধরা জরুরি বলে মনে করেন এই অভিনেতা।

১৯৭১ সেইসব দিন সিনেমায় অভিনয়ের বিষয়ে ফেরদৌস বলেন, ‘অনেক বেশি আবেগ আপ্লুত হয়েই কাজটা করেছি। পুরো জার্নিটা ছিল চমৎকার। এর আগেও আমি মুক্তিযুদ্ধের সিনেমায় কাজ করেছি। আমার কাছে মনে হচ্ছিল মুক্তিযুদ্ধের যেই ঐতিহ্য, সেই ঐতিহ্যকে সুন্দরভাবে পর্দায় উপস্থাপন করতে পারছি না। নানা কারণে ক্ষেত্র বিশেষে বিচ্যুতি ঘটছে। অর্থনৈতিক সমস্যা, পারিপাশ্বিক সমস্যা, সবকিছু মিলেয়ে আমরা ওখান থেকে বেরিয়ে আসছিলাম। মানুষের মনে পৌঁছুতে পারছিলাম না। এরকম একটা দুঃখ বরাবরই আমার বরাবরই ছিল একজন অভিনেতা হিসেবে।

নিজের কাছের বিষয়ে এই অভিনেতা বলেন, ‘আমার কাজ হলো একটি চরিত্রকে পর্দায় বাস্তবসম্মত ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে ফুটিয়ে তোলা। কিন্তু এর জন্য যে পারিপার্শ্বিক আবহ দরকার সেটা সফলভাবে কেউ করতে পারছিল না। হৃদি যখন আমাকে এ সিনেমার কথা শোনাল এবং ওর পুরো টিমের সঙ্গে আমি কয়েকটা মিটিং করলাম, আমার কাছে মনে হলো ওরা অনেক গোছানো।

হৃদি হকের পরিচালনার তারিফ করে ফেরদৌস বলেন, ‘যে কোনো একটি সিনেমার দৃশ্যপটের জন্য শিল্পনির্দেশনা, সহঅভিনেতা কস্টিউম, মেকআপ সবই খুব গুরুত্বপূর্ণ। দেখলাম ওরা প্রতিটি সেক্টরেই অনেক বেশি গোছানো। ওরা অনেক বেশি আবেগ তাড়িত, অনেক বেশি আবেগ কাজ করছে।

শুটিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শুটিং করতে গিয়ে দেখলাম যে সবাই নিজের শতভাগ দিয়েই কাজটি করছে। তাই আমিও আমার অন্যান্য কাজের চেয়েও এই সিনেমার কাজকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে করেছি বা করার চেষ্টা করেছি। কারণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সবচেয়ে অহংকারের জায়গা। বাংলাদেশি হিসেবে সবচেয়ে বড় গর্বের জায়গা।

আমার সবসময় মনে হচ্ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের যে প্রাপ্য সম্মান সেটা আমরা দিতে পারছিলাম না। মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান জেনারেশন থেকে জেনারেশনের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখা সিনেমার মাধ্যমেই সম্ভব। একটি সিনেমাই পারে পুরোনো ঘটনাকে শত বছর পর মানুষের সামনে তুলে ধরতে। আমরা আসলে মুক্তিযুদ্ধের অনন্য দলিলগুলো উপস্থাপন করতে পারছিলাম না, নিজের কথার সঙ্গে যুক্ত করেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস।

পরিশেষে তিনি বলেন, ‘পুরো সিনেমাটি যখন কমপ্লিট হলো, তখন মনে হলো আমরা ভালো একটা কাজ করেছি, ভালো কাজের সঙ্গে ছিলাম। আমার কাছে মনে হয়েছে আমরা মুক্তিযুদ্ধের হারানো ঐতিহ্যকে পুনোরুদ্ধার করতে পেরেছি।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়