ঢাকা,  বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ,

জাতীয়

বিবৃতি প্রত্যাহারে ওবামা ও হিলারিদের উদ্দেশে চিঠি

বিবৃতি প্রত্যাহারে ওবামা ও হিলারিদের উদ্দেশে চিঠি

বাঁ থেকে-বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিনটন ও ড. মুহম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দেশের আদালতে চলমান মামলা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়ে বারাক ওবামা ও হিলারি ক্লিন্টনসহ নোবেলজয়ীদের দেয়া বিবৃতি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি অযাচিত হস্তক্ষেপ।

নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের পক্ষে ১৮৩ জনের দেয়া বিবৃতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিন্টনসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই চিঠির কপি জাতিসংঘ মহাসচিব এবং ড. ইউনূসকেও সংযুক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী বৃহস্পতিবার ই-মেইলযোগে এই চিঠি পাঠান। তারা হলেন- আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব, ব্যারিস্টার প্রশান্ত ভুষণ বড়ুয়া, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার ও মোহাম্মদ ইমরুল কায়েস খান।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতে চলমান মামলা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়ে বারাক ওবামা ও হিলারি ক্লিন্টনসহ নোবেলজয়ীদের দেয়া বিবৃতি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি অযাচিত হস্তক্ষেপ।

বলা হয়েছে, ‘একটি দেশের অভ্যন্তরীণ আদালতে চলমান বিচার বাধাগ্রস্ত করা আন্তর্জাতিক আইন এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আইন তথা সংবিধানের পরিপন্থী। এটি আদালত অবমাননার শামিল। চলমান মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে এ ধরনের একপাক্ষিক বিবৃতি প্রদান অন্য বিচার প্রার্থীদের জন্য বৈষম্যমূলক ও হয়রানি।

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘ওনাদের মতো বিজ্ঞজনদের কাছ থেকে একটি দেশের অভ্যন্তরীণ মামলা স্থগিতের জন্য এ ধরনের একপাক্ষিক বিবৃতি অপ্রত্যাশিত, অনাকাঙ্ক্ষিত এবং সারা বিশ্বের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করবে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

এছাড়া শ্রমজীবী মানুষের আইনসঙ্গত অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে তাদের বিবৃতি বাধা হয়ে দাঁড়াবে এবং তাদের এই বিবৃতি একটি নেতিবাচক উদাহরণ হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

অবিলম্বে বিবৃতি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের আদালতে চলমান কার্যক্রম নিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিবৃতি যেন আর না দেয়া হয়।