ঢাকা,  শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ,

নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না: তথ্যমন্ত্রী

জাতীয়

গণবাংলা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:৪৫, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আপডেট: ২২:৫৮, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সর্বশেষ

নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না: তথ্যমন্ত্রী

দৈনিক বাংলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। ২০১৪ সালের নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য দাঁড়ায়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি পাদানিতে বসে নির্বাচনের ট্রেনে চড়েছিলো। আমরা আশা করব, এবার নির্বাচনের ট্রেনে তারা ভালোভাবে বসবে। আর তারা সেই ট্রেনে না চড়লেও নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।’

নারাজধানীর একটি হোটেলে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দৈনিক বাংলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

 

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না, যথাসময়ে নির্বাচন হবে।’

সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে নতুনভাবে প্রকাশিত দৈনিক বাংলা পত্রিকার প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

দৈনিক বাংলার প্রকাশক ও কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এসোসিয়েশন ও ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবীর হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

‘তফসিল ঘোষণা হলেই যে নির্বাচন হয়ে যাবে, এতো সহজ নয়’- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর এমন মন্তব্যের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে বিএনপি তো চায় দেশে নির্বাচনী ব্যবস্থা ভণ্ডুল করতে। ২০১৪ সালে তারা সেই চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। এবার সেই চেষ্টা করলে জনগণ কঠোর হাতে তা দমন করবে। বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে। সেই মানুষগুলো বসে থাকবে না। আমরা আওয়ামী লীগও বসে থাকব না।’

নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য দাঁড়াবে না উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য দাঁড়ায়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি পাদানিতে বসে নির্বাচনের ট্রেনে চড়েছিলো। আমরা আশা করব, এবার নির্বাচনের ট্রেনে তারা ভালোভাবে বসবে। আর তারা সেই ট্রেনে না চড়লেও নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।’

বিএনপিকে উদ্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওনাদের কোন নেতা কী বললেন তাতে কিচ্ছু আসে যায় না। নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করল কি না সেটিই মুখ্য। যদি জনগণ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলেই সেটি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।

‘বিএনপির বর্জন সত্ত্বেও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনও যদি তারা বর্জন করে জনগণ ব্যাপকভাবেই অংশগ্রহণ করবে ইনশাআল্লাহ। তবে আশা করবো তারা অংশগ্রহণ করবে।’

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করবে’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন যে রোহিঙ্গারা এসেছিলো তাদেরকেই তো তারা পরিপূর্ণভাবে ফেরত পাঠাতে পারেনি। ১৯৭৬-৭৭ সালে রোহিঙ্গারা এসেছিলো। সেই রোহিঙ্গারা এখনও আছে। ওরা এখন বাংলাদেশি হয়ে গেছে।

‘১৯৯১-৯২ সালে আবারও রোহিঙ্গারা এসেছিলো, যখন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী। সেই রোহিঙ্গাদের বহুজন চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এখন তারা রোহিঙ্গা ফেরত পাঠাতে সেমিনার করে বেড়াচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে তারা চায় না যে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হোক। কারণ বিএনপির সঙ্গে যে জঙ্গি গোষ্ঠী আছে তাদের জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো রিক্রুট করার উর্বর ক্ষেত্র হয়েছে। এজন্য ওনারা প্রকৃতপক্ষে চান না এ সমস্যার সমাধান হোক। আমরা চেষ্টা করছি, কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা করছি এবং অনেক অগ্রগতিও আছে। ইনশাআল্লাহ এই সমস্যার সমাধান হবে।’

এর আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দৈনিক বাংলা পত্রিকা, এর সব সদস্য ও পাঠকের জন্য শুভকামনা করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী। তিনি কেক কাটায় অংশ নেন এবং পত্রিকার সম্পাদক চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাতের ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার জীবনের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তার হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।

গণমাধ্যম বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সব প্রতিকূলতা পেছনে ফেলে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, মানুষের এই সাফল্য কাগজের পাতায় আসতে হবে। কাগজের পাতায় যারা হতাশার চিত্র তুলে ধরে সেই নৈরাজ্যবাদীরা রাষ্ট্রের ক্ষতি করে। অবশ্যই সমাজের চিত্র পরিস্ফুটিত হতে হবে। ব্যর্থতার কথাও পত্রিকায় আসবে, সমালোচনা হবে; কিন্তু সাফল্যগাথাটাও প্রকাশ করতে হবে, প্রচার করতে হবে।’

সর্বশেষ

জনপ্রিয়