ঢাকা,  শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ,

পিটার হাসের মুরব্বিদের সঙ্গে কথা হয়ে গেছে: কাদের

পিটার হাসের মুরব্বিদের সঙ্গে কথা হয়ে গেছে: কাদের

বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব, নির্বাচনে না আসলে আমও যাবে, ছালাও যাবে। নির্বাচনে আসেন। শেখ হাসিনা এমন নির্বাচন করবেন, যা হবে নজিরবিহীন নিরপেক্ষ।


বিএনপি নির্বাচন নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, এসব করে লাভ নেই। পিটার হাসের মুরব্বিদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কথা হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপিকে আমেরিকা রোগে পেয়েছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আর কাউকে তো পায় না। ওইভাবে আমেরিকানরাও আসে না। পাত্তা দেয় না। দৌড়ে যায় পিটার হাসের কাছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে পিটার হাস, দুপুরে লাঞ্চ করতে যায় পিটার হাস, রাতে ডিনার করতে যায় পিটার হাস।’

তিনি বলেন, ‘আমি জানি না হাসাহাসে (পিটার হাস) ফখরুলকে কী স্বপ্ন দেখিয়েছে। তবে ক্ষমতা স্বপ্ন দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। ফখরুল সাহেব দিল্লি বহু দূর। ক্ষমতার পথ আপনারাই বন্ধ করে দিয়েছেন। পিটারহাট সাহেব কী করবেন? ভিসা নীতি দেবেন? কী করবেন নিষেধাজ্ঞা দেবেন?’

আওয়ামী লীগের সাধালণ সম্পাদক বলেন, ‘পিটার হাস সাহেবের মুরুব্বিদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়ে গেছে। আমেরিকার মুরব্বি যারা তাদের সঙ্গে কথাবার্তা শেষ। উচ্চ পর্যায়েও কথাবার্তা হয়ে গেছে। তলে তলে যখন সব শেষ তখন আর এসব করে লাভ কী? পিটার হাসকে দেখিয়ে নির্বাচন বন্ধ করবেন, ঢাকায় তাণ্ডব করবেন, সেই খেলা খেলতে দেব না। সেই খেলা সন্ত্রাসের খেলা, বিএনপি সেই খেলা খেলতে দেব না।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নজিরবিহীন নিরপেক্ষ হবে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই দেশে নজিরবিহীন উন্নয়ন করেছেন শেখ হাসিনা। এই দেশে নজিরবিহীন নিরপেক্ষ নির্বাচন শেখ হাসিনাই করবেন। নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।

‘ফখরুল সাহেব, নির্বাচনে না আসলে আমও যাবে, ছালাও যাবে। নির্বাচনে আসেন। শেখ হাসিনা এমন নির্বাচন করবেন, যা হবে নজিরবিহীন নিরপেক্ষ।’ 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মিজা ফখরুল সাহেবদের বদনাম ঘোচানোর জন্য শেখ হাসিনা এমন নির্বাচন করবেন যে নির্বাচন হবে নজিরবিহীন। ফখরুল সাহেব হারায়েন না, হারাইলে আর পাবেন না। এই দেশে নির্বাচন হবে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে নির্বাচন কেউ বন্ধ করতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরা লাশ। আজিমপুরের গোরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত। গোরস্থান থেকে ফখরুল এখন সেই মরা লাশ টেনে আনবে? এই মরা লাশে মুক্তি আসবে না।’

২০০৪ সালের ২১শে আগস্টকে স্মরণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকে এখানে দাঁড়ালে বিএনপির সেই নৃশংস চরিত্র আমাদের চোখের সামনে আসে। এই বিএনপি ওই বিল্ডিং থেকে গ্রামের মেরে আমাদের নেত্রীকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আমাদের ২৩ টি প্রাণ সেদিন রক্তাক্ত করেছিল। আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘এই সেই বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, এখানে এলে বিএনপি কত ভয়ঙ্কর, বিএনপি কত নিষ্ঠুর, সেই ছবি আমরা বারবার দেখতে পাই। কাজে প্রস্তুত থাকতে হবে, সবদিক থেকেই খেলা হবে। ওরা ফাউল করবে, ফাউলের জবাব দিতে হবে। লাল কার্ড দেখাতে হবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেদিন বলেছিলাম রূপপুর ইউরেনিয়ামের চালান আসছে। ফখরুল, মির্জা আব্বাসরা বলে, মঈন খানরা বলে, রূপপুর বন্ধ করে দেবে। ইউরিনিয়াম যেটা আছে সেটা সারা দুনিয়া স্বীকৃত। এই রুপপুর পরমাণুবিক বিদ্যুৎ, আমরা ইউরেনিয়াম ক্লাবে ৩৩ নম্বরে যুক্ত হয়েছি।

‘এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যারা বন্ধ করে দিতে চায়, আমরা এত কোটি কোটি টাকার ইউরিনিয়াম কেন আনলাম, এজন্য বলেছি ওদের মাথার ওপর ঢালবো। ফখরুল মির্জা আব্বাসরা গরম হয়ে যায় তাদের মাথার ওপর ঢালতে হবে।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির সমাবেশ সঞ্চালনা করেন।