ঢাকা,  শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ,

নাশতকতার মামলায় বিএনপি নেতা হাবিবসহ ১৫ জনের চার বছর কারাদণ্ড

আইন-আদালত

গণবাংলা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:২৪, ৯ অক্টোবর ২০২৩

সর্বশেষ

নাশতকতার মামলায় বিএনপি নেতা হাবিবসহ ১৫ জনের চার বছর কারাদণ্ড

প্রতীকি ছবি

আট বছর আগে রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মো. শাজাহান ও কুষ্টিয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আহসান হাবিব লিংকনসহ ১৫ জনকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত এ রায় দেন।


দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন— বিএনপির গ্রাম সরকার বিষয়ক সহসম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল আহমেদ, সহ-প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম, তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, মনিরুল হক মনির, মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, মাসুদ রানা, আব্দুর রাজ্জাক, জিয়াউল ইসলাম জুয়েল, মো. আরিফ, মোহাম্মদ নিশান মিয়া, মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান সুমন ও মোজাম্মেল হক।


দণ্ডপ্রাপ্তদের এক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে। আরেক ধারায় দুই বছর কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের দুই মাসের কারাভোগ করতে হবে। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। সেক্ষেত্রে তাদের দুই বছরের কারাভোগ করতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন আদালত।

আসামিপক্ষের আইনজীবী শেখ শাকিল আহমেদ রিপন বিষয় নিশ্চিত করেন।


এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন, মোহাম্মদ মামুন, দ্বীন ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।

আসামিদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে আব্দুর রাজ্জাককে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। দণ্ডিত অপর ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এদিন মো. শাজাহানের পক্ষে তার আইনজীবী মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের আবেদন করেন। তবে এদিন আসামি আদালতে উপস্থিত হননি। এজন্য আদালত তার আবেদনটি নাকচ করেন। হাবিবুর রহমান ও আহসান হাবিবের পক্ষেও সময় আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জোটের সমর্থক ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের পরোক্ষ ইন্ধনে ৩০ থেকে ৪০ জন ভাটারা থানাধীন যমুনা ফিউচার পার্কের বিপরীতে প্রগতি সরণিতে জনসাধারণের চলাচল গতিরোধ, পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধাসহ খুন করতে বাসে অগ্নিসংযোগ করে।

এ ঘটনায় ভাটারা থানার সাব-ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১২ মে ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন একই থানার সাব-ইন্সপেক্টর শাহ মো. সাজু মিয়া।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়